Pages

Friday, February 8, 2019

My Mother My First Teacher | শিশুকে পড়ানোর সময় কি কি বিষয় নজর দিতে হবে | Techniques of reading | Life With Positive Thinking

আমাদের মায়েদের প্রতিদিনের কাজের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বাচ্চাদের পড়াতে বসানো। 
একটি শিশুকে পড়াশুনা শেখানোর ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা থাকে অনস্বীকার্য।



Insight Psychological Counseling Care Naihati
মায়ের কাছে পড়তে বসতে একটি শিশু সব থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

বাচ্চারা বড় হলে তাদের স্কুলে ভর্তি করার পর পিতা মাতার আরো বেশি দায়িত্ব শুরু হয়। 



 স্কুলের পড়াগুলো ঠিক মতো তৈরি করতে বাচ্চাকে সাহায্য করা ও তার পড়াশোনার প্রতি সঠিক মনোযোগ স্থাপনে সাহায্য করা।



 একজন অভিভাবক হিসেবে মায়ের দায়িত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে এখানে বাবার একটা ভূমিকা এবং পরিবারের একটা ভূমিকা থাকে।



শুধু যে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসালেই আপনার বাচ্চা ঠিকমতো পড়বে এমনটা নয়। 


আপনাকেও এমন কোন  সহজ ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আপনার বাচ্চা পড়তে বসতে আগ্রহী হয়ে ওঠে ও তার পড়ার সময়টুকু বাচ্চা সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করে।



এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই মনে রাখতে হবে বকাবকি এবং গায়ে হাত দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না। এতে পড়াশোনার প্রতি শিশুটির বিতৃষ্ণা জন্মায় এবং ভালোবাসা কমে যায়।

Insight Psychological Counseling Care Naihati

একটি শিশুকে অধিক সময় ধরে জোর করে পড়াবেন না, আপনাদের প্রথম লক্ষ্য হলো শিশুর পড়াশোনার পরিবেশ কে ভালোবাসতে শেখানো।

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

এর জন্য কি কি করা যেতে পারে নিচে সীমিত আলোচনা করা হল:


✓✓ একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন আপনার শিশুকে পড়ানোর।



আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জন্য প্রথমে যা করতে হবে তা হল একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করা। তবে মনে রাখবেন টাইম টেবিলটা হবে আপনার শিশু কখন পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার সময় অনুযায়ী আপনার বাচ্চার পড়ার সময় বাছাই করেন এতে আপনার বাচ্চার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে।


✓✓ পড়াশুনাতে উৎসাহিত করার জন্যে শিশুকে প্রশংসা করুন, শিশুর মনোবল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করুন।





আপনার বাচ্চার পড়ার গতি ও মনোযোগ উভয়ই বাড়াতে তাকে তার পড়ার ভালো ফলাফলের জন্য প্রশংসা করুন। 

✓যেমন :
অনেকক্ষণ ধরে তার চেষ্টা করার পর যদি কোন বিষয়ে সে সমাধান করে তাহলে তার জন্য হাততালি দিয়ে অথবা তাকে জড়িয়ে ধরে প্রশংসা করুন। যাতে আপনার সন্তানের মনে এই কনফিডেন্ট (Confident) জন্মায় তার পক্ষে যে কোন ধরণের পড়ার সমস্যা কে সে সমাধান করতে পারে।

✓✓ আপনার বাচ্চার সাথে সাথে আপনিও পড়ুন। 



বাচ্চারা একা একা পড়ার থেকে সাথী নিয়ে পড়তে বেশী পছন্দ করে। আর তাই বাচ্চাকে পড়াতে বসিয়ে আপনি চুপচাপ না থেকে বাচ্চার সাথে সাথে পড়ুন। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত পড়া আয়ত্ব করতে পারবে।

✓যেমন:
শিশুর সাথে পড়া ছাড়াও আপনি অন্য যেকোনো সময় খবরের কাগজ অথবা কোন গল্পের বই তার সামনে পড়তে পারেন, যাতে সে বুঝতে পারে পড়াশোনাটা কোন ভয়ের ব্যাপার না, বরঞ্চ পড়লে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। এবং পড়ার পরে তাকে জানান আপনি এই গল্পের বইটি থেকে নতুন কি জানলেন অথবা শিখলেন।

✓✓ একটানা গতানুগতিক না পড়িয়ে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চার সাথে খেলুন।





পড়া যাতে একঘেঁয়েমি কোন ব্যাপারে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে বাচ্চার সাথে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলায় অংশগ্রহণ করুন।  হতে পারে সেটা পড়া বিষয়কই কোন খেলা, যার মাধ্যমে বাচ্চা খেলতেও পারবে আবার সাথে পড়াও হবে।



✓যেমন: আপনি আপনার সন্তানকে একটি অংক দিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সন্তানও আপনাকে একটি অংক করতে দিল।

Insight Psychological Counseling Care Naihati

✓✓ আপনার শিশুটিকে বার বার প্রশ্ন করুন ।



বাচ্চার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পড়ার ফাঁকে তাকে জানা বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করুন। আর আপনার বাচ্চা যদি প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দেয় তাহলে তার প্রশ্নের উত্তরের বিপরীতে ভালোবাসা আর আদর দিন।


✓উদাহরণ: বাবা যখন বাড়িতে এলো বাবার সামনে আপনারা দুজন মিলে কী শিখেছেন সেটা বাবাকে শোনান এবং বাবাও সেখানে খুব আগ্রহ নিয়ে শুনবেন ও শোনার পরে অবশ্যই বাবা প্রশংসা করবেন।



✓✓ এক স্থানে আপনারা শিশুটিকে সবসময় পড়তে বসবেন না, জায়গা মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন করুন।





আপনার বাচ্চার পড়ার জায়গা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘরে না রেখে একটু বিস্তৃত করুন।



✓যেমন: টেবিল চেয়ারে একটানা না পড়িয়ে বিছানায় বসাতে পারেন, মেঝেতে বসাতে পারেন কিংবা বারান্দায়। এতে স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার পড়ার একঘেঁয়েমি কেটে যাবে।

এছাড়া যদি ঘরের মধ্যে ছবি লাগাবার কোন জায়গা থাকে তাহলে মাঝে মধ্যেই নতুনত্ব কিছু ভালো ছবি নিয়ে এসে লাগান। এতে ঘরের পরিবেশের পরিবর্তন হবে।
Insight Psychological Counseling Care Naihati

✓✓ পড়ানোর সময় মোবাইল পাশে রাখবেন না।



আপনার শিশুকে পড়ানোর সময় মোবাইল পাশে রাখবেন না এবং মোবাইলের ব্যবহার চেষ্টা করবেন না করার।

কারণ বর্তমানে মোবাইলের প্রতি শিশুদের একটা অন্য রকম দুর্বলতা আছে।

✓✓ পড়ার সময় উদাহরণ দিয়ে বোঝানো।

শিশুকে পড়ানোর সময় অবশ্যই উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝান। পারলে সেই বিষয়টির ছবি তার সামনে তুলে ধরুন।
এতে শিশুটির মনে রাখতে অনেক বেশি সুবিধা হয়।
Insight Psychological Counseling Care Naihati


Insight Psychological Counseling Care Naihati
যেমন: উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যদি আপনি আপনার শিশুটিকে "আপেল" সম্পর্কে বোঝাতে চান তাহলে আপেল এর চিত্র দেখান, তার রং সম্পর্কে বলুন , তার স্বাদ সম্পর্কে বলুন এবং সেটা খেলে কি হয় সেটা বলুন।
Insight Psychological Counseling Care Naihati
✓✓ পড়ানো শেষে বাচ্চাকে খেতে দিন তার পছন্দের কোন খাবার।



প্রতিদিনের পড়ানোর শেষে সারপ্রাইজ হিসেবে আপনার শিশুটিকে দিতে পারেন তার পছন্দের কোন খাবার। দেখবেন এই উপায়ে আপনার বাচ্চার পড়াও হবে সাথে খাওয়াও হবে।



অবসর সময় ভালো ভালো শিক্ষামূলক ভিডিও দেখান এবং আমাদের দেশে বিভিন্ন মনীষীদের কথা তার সঙ্গে গল্প করে আলোচনা করুন। বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান। শিশুকে নির্দিষ্ট সময় অন্য শিশুর সাথে খেলার সুযোগ করে দিন। পশু পাখি জীব জন্তু কে চেনান।





যেগুলো করবেন না।



১) আপনার শিশুটি কে অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করবেন না। শিশুর ওপর বিশ্বাস রাখুন কারণ আপনার শিশুর ও বিশেষ কোন যোগ্যতা আছে।

২) পড়াশোনা খুব কষ্ট করে / ত্যাগ স্বীকার করে করতে হয় এ কথা শিশুর সামনে বারবার বলবেন না।
৩) শিশুকে পড়ানোর সময় মোবাইল এর ব্যবহার একদম করবেন না।
Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati



৪) শিশুকে পড়ানোর সময় আপনি অন্য দিকে মনোযোগ দেবেন না কারণ শিশু আপনাকে লক্ষ্য করে।

৫) শিশুকে বকাবকি করবেন না তাকে যুক্তি দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দিন, কারণ একটি শিশু বারবার আপনাকে প্রশ্ন করবে এটাই স্বাভাবিক।
৬) শিশুকে অযথাই ভয় দেখাবেন না।
৭) শিশুকে কোন কিছু দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেবেন না।
৮) অযথাই চিৎকার 
করবেন না অথবা শিশুর সামনে পরিবারে একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করবেন না।


৯) মোবাইল ফোনের ব্যবহার শিশুকে না করতে দেয়াই ভালো।
১০) সব সময় খুব বেশি দামি গিফট কিনে দেবেন না।
১১) শিশুর সামনে অন্যকে সেই শিশুটির দোষ ত্রুটি সম্পর্কে বলবেন না।
১২) শিশুর সঙ্গে আধো আধো কথা বলবেন না। পরিষ্কার কথা বলুন।
১৩ ) শিশুকে সাথে নিয়ে পারিবারিক ঝগড়া অশান্তি মূলক সিরিয়াল দেখবেন না।



বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 



18  মাস বয়স যখন একটি শিশুর তখন সে 10 টি অক্ষর বলতে পারে, এবং 24 মাসের মধ্যে 50 অথবা তার থেকে বেশি অক্ষর শিখা যায়।

দু বছর বয়সেও যদি আপনার শিশুর কথা শুরু না করে , তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পবন দাস

মনোবিদ,পরামর্শদাতা
Psychological counselor
Psychotherapist
Consultant Psychologist


Insight Psychological Counseling Care Naihati

    Share on Whatsapp

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati

Insight Psychological Counseling Care Naihati
Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking| Life With Positive Thinking


No comments:

Post a Comment