যদি বলি আপনি জীবনে কি পেলেন ?
Click Here for ENGLISH VERSION
আর সেই পাওয়ার পর আপনার চাওয়া কি শেষ হয়ে গেছে ?
এক, দুই করে যদি বলতে বা লিখতে বলি, তাহলে আপনি ১০ টি লাইন লিখতে বা বলতে পারবেন কি?
উত্তর
"না" ।
হ্যাঁ , আপনি পারবেন না। কারণ আপনি কিছুই পাননি,
আর এই জীবনে কিছুই পাবেন না।
আপনার ভালো লাগা খারাপ লাগা শুধুই সেরোটোনিন হরমোনের এর ওঠানামা।
না ভুল বলিনি আমি। একটু পড়ুন অবশ্যই জানতে পারবেন।
" ও "যেটা বলিনি সেটা হলো আপনার মন।
যেটাই নাকি সব।
তাহলে আমার প্রশ্ন মনটা শরীরের কোথায় অবস্থিত ?
ভেবে বলুন ।
না, আপনার হৃদপিণ্ড কিন্তু মন নয় , আমাদের হৃদপিণ্ড এর কাজ কিন্তুু আলাদা। সে কিন্তুু আপনার রক্ত প্রবাহ দেখাশুনা করে।
তাহলে মনটা কোথায় ?
সেই সেরোটোনিন, ডোপামিন হরমোনের এর ওঠানামা।
জীবনটা এই ভাবেই কাটে।
আপনি ভাবছেন এইগুলো কি ধরনের লেখা।
তবে আমি এখনও পর্যন্ত যত রুগীর সাথে কথা বলেছি ,যত তাদের নিয়ে স্টাডি করেছি , সেই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। দিনে ১,৪০,০০০ টাকা ইনকাম করে এমন মানুষ দেখেছি , আবার দিনে ৫০ টাকাও ইনকাম নেই এমন মানুষও দেখেছি। কেউ শান্তিতে নেই। শুধু না থামা চিন্তা নিয়ে আমরা অবিরাম দৌড়ে বেড়াচ্ছি। যে দৌড়ের সমাপ্তি দাগ নেই।
আপনি নিজে বলুন আপনার জীবনের এমন এক সপ্তাহ যখন আপনি সুখে ও শান্তিতে কাটিয়েছেন।
সেটা বলতে গেলে আপনাকে মনে করে বলতে হবে, আরও ভালো করে মনে করলে দেখবেন তখনও সমস্যা ছিল তখনও সুখ ও শান্তি ছিল না।
তবে জীবনের আনন্দ টা কোথায় ?
জানেন তো ভালো থাকাটা একটা অভ্যাস। আপনি যদি ভালো থাকতে চান, ভালো থাকবেন । আর ভালো না থাকতে চাইলে ভালো থাকতে পারবেন না।
এক ভদ্রলোক রাতে আমাকে দেখিয়ে গেলেন তখন তিনি সুস্থ । হাসছে।
সকালে তিনি এই পৃথিবীর বাইরে। তার রাতে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । এটাই জীবন।
মানুষ এই সৃষ্টির সব থেকে বড় এবং জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
আমরা সর্ব গুন সম্পূর্ণ, আমাদের যিনি তৈরি করেছেন তার ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো ত্রুটি নেই।
তবে এই মেশিন একবার বন্ধ হলে আর চালু হয় না। তাহলে আপনি সারাদিন যে চিন্তা করেন তাতে লাভ কি পান। কিছুই না।
চিন্তা করা মানে আপনি আপনার হৃদপিণ্ড নামক যন্ত্রটিকে বন্ধ করার চাবি খুঁজছেন।
জীবনকে উপভোগ করুন, বর্তমানে বাঁচুন, ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করুন। সময় আসলে চলে যাবেন।
মনে রাখবেন যত দিন আছেন লড়াই আপনকে করতে হবে। কারণ আপনি জন্মের আগে থেকে লড়াই করে আসছেন, আর এখনও লড়াই করছেন।
বুঝলেন না , লক্ষ লক্ষ ডিম্বাণু আর শুক্রাণুর দৌড়ে আপনিই জিতে ছিলেন তাই আপনি জন্মেছেন ,তাই লড়াই আপনার শিরায় শিরায়, প্রতিটা কোষে কোষে।
ঘটনা যে গুলো আমাদের চারপাশে ঘটে সেটি খারাপ না কি ভালো সেটা আমরা ঠিক করি। কিন্তু "ঘটনা" নিরপেক্ষ হয়।
যেমন - একজন ওষুধের দোকানদারকে আপনি যদি দেখেন সন্ধ্যা বেলা পূজা করছেন তবে ভাবতে পারেন লোকটি কি বাজে, ভগবানের কাছে বলছে মানুষের শরীর খারাপ হোক আর এই দোকানে আসুক। অর্থাৎ ঘটনাটা আপনার কাছে খারাপ কিন্তু দোকানদারের কাছে ভালো।
দোকানদারের যদি ওষুধ বিক্রি না হয় তাহলে দোকান বন্ধ করে দেবে, তখন আপনি কি করবেন?
অর্থাৎ দেখার আর ভাবার দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে খারাপ অথবা ভালো রাখে।
আপনি যদি ভালো ভাবেন অর্থাৎ পজিটিভ ভাবেন আপনার প্রতিটি কোষ আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে।
তাই অহেতুক চিন্তা , টেনশন করবেন না , আপনি ভালো আছেন, ভাল থাকবেন।
কারণ আপনার মধ্যে ভাল থাকার সব গুণ আছে।
প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করুন, সেটা ভালো হোক বা খারাপ , খারাপ হলে ভাল হবে ও আপনি ভাল করতে পারবেন ।
যদি লেখাটি পড়ে মনে হয় আপনি নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিখলেন তাহলে লেখাটি অন্যকে পাঠান।
যদি লেখাটি মনেহয় কিছু শেখার মতো তথ্য আছে, অথবা ভালো লেগে থাকে, তাহলে Share করুন, আমার লেখা পড়তে হলে Page er ওপরে ডান দিকে Follow button এ ক্লিক করুন যাতে পরের পোস্ট টি আপনার কাছে নিজে থেকে পৌঁছে যেতে পারে।
পাশের ছবিটি দেখুন।
পাশের ছবিটি দেখুন।
আমি
পবন দাস
মনোবিদ
নৈহাটি
8902163630
পবন দাস
মনোবিদ
নৈহাটি
8902163630
No comments:
Post a Comment