Importance of Career Counseling
মাধ্যমিক উচমাধমিকের পড় কি নিয়ে পারলে কাজ পাবে ?
মাধ্যমিক উচমাধমিকের পর সময়টা ছাত্র - ছাত্রীর জীবনের একটা গুরুতবপূর্ণ সময়।
কিন্তু আমরা বাবা মারা এটা কতটা বুঝি সেটা ভাবার বিষয়। সাধারনত আমরা এই সময় সন্তানের গৃহ শিক্ষক অথবা আমাদের পরিচিত কোন শিক্ষিত ব্যাক্তির সাথে কোন রকম আলাপ আলোচনা করে, কোন লাইনে গেলে সে একটি চাকরি পাবে সেটি মাথায় রেখে ঠিক করি আমার সন্তান নিয়ে পড়বে।
অথবা ভবি আমার সন্তান কি নিয়ে পড়তে ভালো বাসে অথবা তার বড় হয়ে কি হওয়ার ইচ্ছা। সেই ভেবেই দিই একটা বিষয় ঠিক করে। তবে মনে রাখবে আপনার যদি পাইলট হওয়ার ইচ্ছা থাকে কিন্তু আপনি বাইলজিতে প্রচন্ড জ্ঞ্যান ও এটা আপনার স্ট্রং ফিল্ড, তাহলে আপনি কি করবেন।
তাই হাটকারি সিদ্ধান্ত নেবেন না। এই সিধান্ত নেওয়ার বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি আছে।
জীবনের এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এই বয়সে এবং এই সময় একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর এর সঙ্গে অবশ্যই দেখা করে তার ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করা উচিৎ। এতে তার কাছে ভবিষ্যতের প্ল্যানিং গুলো পরিষ্কার হয়ে যায়।
আপনার শিশুর ওপরে তে কোনো ভাবেই কোন বিষয় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যে বিষয়ে তার দক্ষতা সবথেকে বেশি সেই বিষয় নিয়েই ভবিষ্যতে এগুলি সব থেকে বেশি সাফল্য পাবে। তাই আপনার মতামত আপনার সন্তানের উপর না চাপিয়ে দিয়ে তার পজিটিভ দিক গুলোকে বিচার করুন।
এমন কোন বিষয় চাপিয়ে দেবেন না অর্থাৎ এমন কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে তাকে বাধ্য করবেন না যাতে সে ভবিষ্যতে গিয়ে বলে এই সাবজেক্টটা নিয়ে পড়াতে আমার সব থেকে বড় ভুল হয়েছে।
কারন মনে রাখবেন ক্যারিয়ার বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আপনার নেই সেটা আপনার সন্তান কে করতে হবে এবং আপনার সন্তানকে লড়তে হবে তাই তার সব থেকে শক্তিশালী জায়গাটাকে আপনি লক্ষ্য রেখেই তার কেরিয়ার সিলেক্ট করতে সাহায্য করুন।
পবন দাস
মনোবিদ
৭৯৮০৮৫৭৪৫১
No comments:
Post a Comment