How to Stop Negative Thought Part - 1 |
আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, সেটা হল চিন্তা। আপনি কিভাবে নেগেটিভ চিন্তার সাথে লাড়াই করবেন।
জানিনা লেখাটা কত বড় হবে, তবে আশা করেই এটা পড়ে আপনারা একটা দিশা অবশ্যই পাবেন।
আমার অনুরোধ লেখাটা একটু ধীরে ও বুঝে পড়বেন।
Positive Thoughts V/S Negative Thoughts - Part - 1
আমাদের চিন্তা গুলো কি করে তৈরি হয় ? কি করে নেগেটিভ চিন্তা গুলো বারবার আসে।
মনে করুন, সকাল 10 টার সময় জানানো হল যে, 24 ঘন্টা আপনাকে খেতে দেওয়া হবে না।
কি হবে ? আপনার কি কি কষ্ট হবে ( শারীরিক ও মানসিক ) ? ভাবুন ।
ঠিক পরের দিন যখন 24 ঘন্টা সময় শেষ হবে, ঠিক তার 5 মিনিট আগে জানানো হল, আপনাকে আরো 48 ঘন্টা খেতে দেওয়া হবে না।
আপনার কি হবে ? আপনি কি কি ভাববেন ? ভাবুন।
1) আপনার শরীর দূর্বল হয় যাবে।
2) আপনার এনার্জি কমে যাবে।
3) গলা শুকিয়ে যাবে।
4) মাথা ঘুরাবে।
5) রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যাবে।
6) রাগ, বিরক্তি বেড়ে যাবে।
7) ভয় জন্ম নেবে।
8) Blood pressure and Blood sugar এর ওপর প্রভাব পড়বে।
9) ঘুমের সমস্যা হবে।
10) এছাড়া আপনার ভয়ানক কোন পরিস্থিতি হতে পারে।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
খাদ্য আপনার শারীরিক সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করে। শরীরকে আপনি খাদ্য দিচ্ছেন, তার থেকে যে এনার্জি পাচ্ছে সেই এনার্জি শরীরকে চালনা করছে। খাদ্য = এনার্জি
ঠিক একইরকম ভাবে আপনি আপনার মস্তিষ্কেকে চোখ, নাক, কান, স্কিন, জিভ দিয়ে তথ্য দিচ্ছেন, আপনার জন্মের পর থেকে। এই তথ্য গুলোকে আমাদের মস্তিষ্ক জমা করে যেটাকে আপনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
এই গুরুত্ব আপনার Emotion + Action এর ওপর অনেকটা নির্ভর করে।
অতীতের তথ্য এবং বর্তমানের তথ্য কে Analysis করে চিন্তা তৈরি হয়।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন সবাই।
এবার পজিটিভ চিন্তা , নেগেটিভ চিন্তা।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন সবাই।
এবার Positive Thoughts , Negative Thoughts
ধরুন 20 জনের দুটো টিম করা হলো, এবং এদের আলাদা আলাদা পরিবেশে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্যে রাখা হল। দুটো টিম বাইরের জগৎ থেকে আলাদা।
দুটো টিমের সমান সুবিধা দেওয়া হল, কিন্তু প্রতিদিন, তাদের কাছে দুটি আলাদা আলাদা খবর দেখানো হচ্ছে।
একটিতে সর্বদা হিংসা অবিশ্বাস, চুরি, সমাজের বিভিন্ন অসামাজিক কার্য, ধর্ম নিয়ে হিংসা ও যুদ্ধের খবর দেখান হল।
অপরটিতে সমাজের ভালো দৃশ্য দেখান হল।
এবার বলুন এনাদের মধ্যে কি ধরনের প্রভাব পড়বে ?
প্রথম ক্ষেত্রে - রাগ বাড়বে, বিরক্তি বাড়বে, সমাজের প্রতি তাদের ঘৃণা জন্মাবে, বিশ্বাস কমে যাবে, হিংসাত্মক হয় উঠবে, উদ্বেগ বাড়বে, সর্বদা খারপ কিছু হবে আশঙ্কা জন্মাবে, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা হবে, ভয় হবে, শারীরিক বিভিন্ন রোগের পরিমাণ বাড়বে। এদের বেশির ভাগ নেগেটিভ চিন্তা আসবে কারন এনাদের মস্তিষ্ককে নেগেটিভ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে - খুব স্বাভাবিক ভাবে পজিটিভ চিন্তা আসবে। কারন এনাদের মস্তিষ্ককে পজিটিভ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আমাদের মস্তিষ্ককে আমরা যেমন তথ্য দেব, মস্তিষ্ক ঠিক তেমন কাজ করবে।
সারাদিন আপনি যদি নেগেটিভ তথ্য দেন তাহলে আপনার অবচেতন মন বার বার আপনাকে নেগেটিভ চিন্তা দেবে, আর যদি পজিটিভ চিন্তা দেন তাহলে আপনার অবচেতন মন পাজেটিভ চিন্তা দেবে।
আলোচনার শেষ হয়নি কারন এবার আপনার প্রশ্ন কি করে আমি পজিটিভ তথ্য মস্তিষ্ককে দেব ? কখন কখন দেব ? এর কি কোন সময় আছে ?
কি করলে আপনার নেগেটিভ চিন্তা গুলোর স্থানে পজিটিভ চিন্তা আসবে জানুন।
নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
Positive Thoughts V/S Negative Thoughts - Part- 2
আপনি যদি আমার লেখা পড়তে চান তাহলে উপরের ডান দিকে FOLLOW BUTTON ক্লিক করুন। যেকোনো নতুন লেখা আপনার কাছে প্রথমে পৌঁছে যাবে।
পবন দাস
মনোবিদ
নেগেটিভ চিন্তা গুলোকে কি করে আটকাবেন 1 পর্ব।
How to Stop Negative Thought | Thinking |
আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, সেটা হল চিন্তা। আপনি কিভাবে নেগেটিভ চিন্তার সাথে লাড়াই করবেন।
জানিনা লেখাটা কত বড় হবে, তবে আশা করেই এটা পড়ে আপনারা একটা দিশা অবশ্যই পাবেন।
How to Stop Negative Thought | Thinking |
আমার অনুরোধ লেখাটা একটু ধীরে ও বুঝে পড়বেন।
Positive Thoughts V/S Negative Thoughts - Part - 1
আমাদের চিন্তা গুলো কি করে তৈরি হয় ? কি করে নেগেটিভ চিন্তা গুলো বারবার আসে।
মনে করুন, সকাল 10 টার সময় জানানো হল যে, 24 ঘন্টা আপনাকে খেতে দেওয়া হবে না।
কি হবে ? আপনার কি কি কষ্ট হবে ( শারীরিক ও মানসিক ) ? ভাবুন ।
ঠিক পরের দিন যখন 24 ঘন্টা সময় শেষ হবে, ঠিক তার 5 মিনিট আগে জানানো হল, আপনাকে আরো 48 ঘন্টা খেতে দেওয়া হবে না।
আপনার কি হবে ? আপনি কি কি ভাববেন ? ভাবুন।
1) আপনার শরীর দূর্বল হয় যাবে।
2) আপনার এনার্জি কমে যাবে।
3) গলা শুকিয়ে যাবে।
4) মাথা ঘুরাবে।
5) রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যাবে।
6) রাগ, বিরক্তি বেড়ে যাবে।
7) ভয় জন্ম নেবে।
8) Blood pressure and Blood sugar এর ওপর প্রভাব পড়বে।
9) ঘুমের সমস্যা হবে।
10) এছাড়া আপনার ভয়ানক কোন পরিস্থিতি হতে পারে।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
খাদ্য আপনার শারীরিক সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করে। শরীরকে আপনি খাদ্য দিচ্ছেন, তার থেকে যে এনার্জি পাচ্ছে সেই এনার্জি শরীরকে চালনা করছে। খাদ্য = এনার্জি
ঠিক একইরকম ভাবে আপনি আপনার মস্তিষ্কেকে চোখ, নাক, কান, স্কিন, জিভ দিয়ে তথ্য দিচ্ছেন, আপনার জন্মের পর থেকে। এই তথ্য গুলোকে আমাদের মস্তিষ্ক জমা করে যেটাকে আপনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
এই গুরুত্ব আপনার Emotion + Action এর ওপর অনেকটা নির্ভর করে।
অতীতের তথ্য এবং বর্তমানের তথ্য কে Analysis করে চিন্তা তৈরি হয়।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন সবাই।
এবার পজিটিভ চিন্তা , নেগেটিভ চিন্তা।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন সবাই।
এবার Positive Thoughts , Negative Thoughts
ধরুন 20 জনের দুটো টিম করা হলো, এবং এদের আলাদা আলাদা পরিবেশে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্যে রাখা হল। দুটো টিম বাইরের জগৎ থেকে আলাদা।
দুটো টিমের সমান সুবিধা দেওয়া হল, কিন্তু প্রতিদিন, তাদের কাছে দুটি আলাদা আলাদা খবর দেখানো হচ্ছে।
একটিতে সর্বদা হিংসা অবিশ্বাস, চুরি, সমাজের বিভিন্ন অসামাজিক কার্য, ধর্ম নিয়ে হিংসা ও যুদ্ধের খবর দেখান হল।
অপরটিতে সমাজের ভালো দৃশ্য দেখান হল।
এবার বলুন এনাদের মধ্যে কি ধরনের প্রভাব পড়বে ?
প্রথম ক্ষেত্রে - রাগ বাড়বে, বিরক্তি বাড়বে, সমাজের প্রতি তাদের ঘৃণা জন্মাবে, বিশ্বাস কমে যাবে, হিংসাত্মক হয় উঠবে, উদ্বেগ বাড়বে, সর্বদা খারপ কিছু হবে আশঙ্কা জন্মাবে, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা হবে, ভয় হবে, শারীরিক বিভিন্ন রোগের পরিমাণ বাড়বে। এদের বেশির ভাগ নেগেটিভ চিন্তা আসবে কারন এনাদের মস্তিষ্ককে নেগেটিভ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে - খুব স্বাভাবিক ভাবে পজিটিভ চিন্তা আসবে। কারন এনাদের মস্তিষ্ককে পজিটিভ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আমাদের মস্তিষ্ককে আমরা যেমন তথ্য দেব, মস্তিষ্ক ঠিক তেমন কাজ করবে।
সারাদিন আপনি যদি নেগেটিভ তথ্য দেন তাহলে আপনার অবচেতন মন বার বার আপনাকে নেগেটিভ চিন্তা দেবে, আর যদি পজিটিভ চিন্তা দেন তাহলে আপনার অবচেতন মন পাজেটিভ চিন্তা দেবে।
আলোচনার শেষ হয়নি কারন এবার আপনার প্রশ্ন কি করে আমি পজিটিভ তথ্য মস্তিষ্ককে দেব ? কখন কখন দেব ? এর কি কোন সময় আছে ?
কি করলে আপনার নেগেটিভ চিন্তা গুলোর স্থানে পজিটিভ চিন্তা আসবে জানুন।
নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
Positive Thoughts V/S Negative Thoughts - Part- 2
আপনি যদি আমার লেখা পড়তে চান তাহলে উপরের ডান দিকে FOLLOW BUTTON ক্লিক করুন। যেকোনো নতুন লেখা আপনার কাছে প্রথমে পৌঁছে যাবে।
পবন দাস
মনোবিদ
No comments:
Post a Comment