Wednesday, April 29, 2020

How to Stop Negative Thought Part - 2 । নেগেটিভ চিন্তা গুলোকে কি করে আটকাবেন 2 পর্ব।

How to Stop Negative Thought Part - 2 । নেগেটিভ চিন্তা গুলোকে কি করে আটকাবেন 2 পর্ব। 
How to Stop Negative Thought | Thinking
How to Stop Negative Thought | Thinking


যদি আগের আলোচনা ভালো করে না পারেন তবে এই আলোচনা আপনি বুঝতে পারবেন না।
নিচের লিংকে ক্লিক করে আগের আলোচনা ভালো করে ধীরে ধীরে পড়ুন।

Positive Thoughts V/S Negative Thoughts - Part - 1


আলোচনার শেষ হয়নি কারন এবার আপনার প্রশ্ন কি করে আমি পজিটিভ তথ্য দেব ? কখন কখন দেব ? এর কি কোন সময় আছে ?
How to Stop Negative Thought | Thinking
How to Stop Negative Thought | Thinking

কি করলে আপনার নেগেটিভ চিন্তা গুলোর স্থানে পজিটিভ চিন্তা আসবে জানুন।

আমাদের চিন্তা গুলো কখন আমাদের সবথেকে বেশি আঘাত করে ? যখন আমাদের ইমোশন এর সাথে যুক্ত হয়।

আপনি সকালে উঠে মোবাইল / নিউজ পেপার / নিউজ চ্যানেল খুলে দেখান কি ?

তাহলে এটা বন্ধ করতে হবে। কারন এগুলো আপনাকে তাদের মনের মত খবর / তথ্য দেখাবে।
আপনাকে সকলে পজেটিভ তথ্য দিতে হবে, আপনার মস্তিষ্ককে।

যেমন - কোন বিশেষ বই, যেটা আপনার জীবনে কাজে লাগতে পারে। ভালো পজিটিভ গল্প , পজিটিভ  স্পিচ, গীতা, কোরান , বাইবেলের মত বই অথবা অডিও। বর্তমানে  Youtube এর একটা বড় মাধ্যম। তবে আমি বই পড়তে বেশি প্রেফার করব।

শরীর চর্চা, যোগা, ধ্যান, অথবা সমস্যা নেই এমন কোন কার্য করতে হবে, যাতে আপনার মস্তিষ্ককে কেউ প্রভাবিত করতে না পারে।


বিষয়টা সহজ কিন্তু 45 দিন মেনে চলা খুব কঠিন। কিন্তু এই 45 দিন যদি আপনি এটা করতে পারেন, আমি আপনাকে কথা দিতে পারি, আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা পাল্টে যাবেই।
আপনি আগের থেকে অনেক বেশি ভালো নিজেকে অনুভব করবেন।

কারণ আমাদের একই পথে Negative Thinking এবং Positive Thinking দুটোই আসে, আপনার উপর নির্ভর করছে, আপনি সেই পথ দিয়ে কাকে নিয়ে আসবেন।

একটা উদাহরন দিই : আপনার এলাকাতে মূল পানীয় জলের পাইপ ফেটে গেছে।

একটি ঘটনাকে 10 জন মানুষ , 10 ভাবে প্রকাশ করে।
প্রথম জন :   এটাতো বিরাট বড় সমস্যা হয়ে গেল ।
দ্বিতীয় জন : এটাতো বড় সমস্যা হয়ে গেল।
তৃতীয় জন :  এটা তো সমস্যা হয়ে গেল।
চতুর্থ জন : কিসের সমস্যা ।
পঞ্চম জন : এটা কোন সমস্যা নাকি ?
ষষ্ঠ জন : গাফিলতির জন্যে এই সমস্যা।
সত্তম জন : এটা সমস্যাই নয়।
অষ্টম জন : এই ধরনের সমস্যা হয়।
নবম জন : প্রশাসন আসবে, বিকালের মধ্যে সারিয়ে ফেলবে, এই নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
দশম জন : ভয় পেয়ে, জলের ব্যবস্থা করতে শুরু করলো।

আপনি কোনটা করবেন? এক লাইনে লিখুন।

যখন আমরা একটা ছোট কথাকে নিয়ে বার বার ভাবতে থাকি আমাদের মস্তিষ্ক সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, এবং আমাদের অবচেতন মন বারবার সেই ছোট কথাটাকে মনে করাতে থাকে।এবং সেই ছোট কথাটা বড় হয় যায়। সেটা পজিটিভ হতে পারে অথবা নেগেটিভ হতে পারে, আপনি আপনার ব্রেনকে কি তথ্য দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে।

রাতের চিন্তা ও সকালের চিন্তা আমাদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন আপনি চেষ্টা করবেন ঘুমোতে যাওয়ার সময় সারাদিনের চিন্তাগুলোকে না করা। ঘুমোতে যাওয়ার সময় জীবনের ভালো ও আনন্দের মুহূর্ত গুলো চিন্তা করা।

এবং সকালে অবশ্যই Positive Information সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো।

একাধিক চিন্তা আমাদের আসবে, এটাই বাস্তব কারণ আমাদের মস্তিষ্ক কখন চিন্তা থামাতে পারে না। আপনি যখন Cinema Hall গিয়ে আপনার মনের মত সিনেমা দেখেন,তখন আপনি নিজেকে সেই সিনেমার একটা অংশ হিসেবে নিজেকে ভাবতে থাকেন। অনেকে সিনেমার বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলোকে মনে রেখে দেয়।
হিরো, হিরোইনদের নকল করে। অর্থাৎ আপনি মস্তিস্ককে যা দিচ্ছেন সেটাই করছে। তাই আপনি মস্তিস্ককে পজেটিভ বিষয় দিলে আপনার মস্তিষ্ক পজিটিভ জিনিসই ভাববে।

আমাদের জীবনে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
1) কর্মক্ষেত্র সময় দেওয়া। 2) পরিবারের জন্য সময় দেওয়া। 3) নিজের জন্য সময় দেওয়া।
আপনি কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, ABCD এই চারটির মধ্যে একটি উত্তর নির্ধারণ করুন।
a) 1,2,3
b) 2,1,3
c) 3,2,1
d) 3,1,2

আমাকে লিখে পাঠান। আমি আপনাকে নিশ্চয়ই উত্তর দেবো।
আপনি যদি আমার লেখা পড়তে চান তাহলে উপরের ডান দিকে FOLLOW BUTTON ক্লিক করুন। যেকোনো নতুন লেখা আপনার কাছে প্রথমে পৌঁছে যাবে।

পবন দাস 
মনোবিদ 

No comments:

Post a Comment